মঙ্গলবার , ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক

প্রকাশিত হয়েছে -




সমাচার ডেস্ক অনলাইন :





ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নিপীড়িত ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ”। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা অফিসে “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ”নামে একটি পেশাগত অধিকার সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করা হয়। নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কে সংগঠনের প্রধান করে ১০১ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

এ সময় তিনি রফিক বলেন, ‘গত ১৬ বছরে নিপীড়িত ও খুন হওয়া সাংবাদিকদের তালিকা করা হচ্ছে । খায়রুল আলম রফিক বলেন, ‘বিগত প্রায় ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে অসংখ্য সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নানা ধরনের নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং বিভিন্ন সময় খুন হয়েছেন। কিন্তু নিপীড়িত সাংবাদিক ও খুন হওয়া সাংবাদিকের প্রকৃত সংখ্যা আমরা কেউ জানি না। আবার শুধু সাংবাদিকরা নিজেরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যদের পর্যন্ত মামলা, হামলা এবং হয়রানির মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের নির্যাতিত সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তারা যাতে যথাযথ বিজ্ঞ আইনজীবীদের মাধ্যমে ন্যায় বিচার এবং ক্ষতিপূরণ পান তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমান এবং ভবিষ্যতে যেকোনও সরকারের সময় যাতে পেশাগত কাজের কারণে সাংবাদিকরা নিপীড়নের শিকার না হন সে জন্য কাজ করে যাবে এই সংগঠনটি।

উক্ত সংগঠনে সদস্যরা হচ্ছেন বিজ্ঞ আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, সিনিয়র সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও ৬৪ জেলা থেকে ৭১ জন সাংবাদিক নিয়ে যাত্রা শুরু করবে । এছাড়াও প্রত্যেকটা ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আলাদা একটি তদন্ত সংস্থা কমিটি করা হয়েছে। উক্ত তদন্ত সংস্থার একজন প্রধান ও ১১ সদস্য রাখা হবে।

উক্ত কমিটিতে বিজ্ঞ আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা রয়েছে। সকলের নাম পদবী খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। রফিক বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সাংবাদিকদের হয়রানির ঘটনাগুলো” সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে এবং সরেজমিনে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে।