মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং মোল্লারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মোল্লারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম (সানা) মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি শেখ হেলালের খুব কাছের মানুষ এবং বিভিন্ন পদে থাকার কারণে হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ এত সম্পদ কোথায় পেল এই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম (সানা) মিয়া এক সময় কিছু না থাকলেও বর্তমানে তার সম্পদের হিসেব হয়তো তিনি নিজেও জানেন না আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন অবস্থায় শেখ হেলাল এর ডান হাত মনে করতেন এলাকাবাসী ঠিক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট করেছেন কোটি কোটি টাকা শুধু টাকাই নয় কেড়ে নিয়েছেন অনেকের জমি বিভিন্ন স্থানে দখল করেছেন সরকারি জমিও করেছেন চাকরি বাণিজ্য ৭/৮ লাখ থেকে শুরু করে ১৫ লাখ পর্যন্ত নিয়েছেন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাড়িয়েছেন একাধিক মুক্তিযোদ্ধা তাদের থেকেও নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা এভাবেই আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন অবস্থায় বানিয়েছেন বিশাল সম্পদের পাহাড় উপজেলা মোল্লারহাট গিয়ে জানা যায় একসময় শাহিনুর আলম(সানা) মিয়ার কিছু না থাকলেও বর্তমানে অডাল সম্পত্তির মালিক সে শুধু নিজের নামে নয় সম্পদ করেছেন দুই ছেলের নামে স্ত্রীর নামে পুত্র বধূদের নামে এক সময় ভ্যানে চলা মানুষটি কি করে এখন প্যারাডু গাড়িতে চলেন এটাই এলাকার মানুষের চোখ ধাঁধানো বিষয় প্যারাডু থেকে শুরু করে রয়েছেন চারখানা গাড়ি এবং পরিবহন খাতে রয়েছে তার দুই ছেলে এবং নিজের নামে সাত খানা গাড়ি এমনকি মালবাহী পরিবহন ও রয়েছে দুইটা রয়েছে ইটের ভাটা সহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ওনার এলাকায় কোন লোকই উনার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন না কারণ জানতে চাইলে অজ্ঞাতনামা এই লোক জানায় আমি যদি আপনাদেরকে সবকিছু বলে দেই তাহলে হয়তো রাতের আঁধারে আমাকে মেরে দিবে কারণ জানতে চাইলে জানান উনাদের কাছে বৈধ অস্ত্র সহকারে রয়েছে অনেক অবৈধ অস্ত্র উনি আরো জানান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদুকে রয়েছে নাকি দুইটা মামলা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার কোন ক্ষতি দুর্নীতি দমন কমিশন করতে পারেনি হয়তো এবার তার সকল সম্পত্তির হিসেব দুর্নীতি দমন কমিশন দুদুকে দিতে হবে তিনি আরো জানান তার তিন মেয়ে দুই ছেলে তিন মেয়েই তিনি বিয়ে দিয়েছেন ২ এসপি এক ওসির সঙ্গে যে কারণে তাকে আজ পর্যন্ত কেউ কোন কিছু করার ক্ষমতা রাখেনি তবে এই সাধারণ লোকটির ধারণা এবার হয়তো শাহিনুর আলম (সানা) মিয়ার সকল অবৈধ সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে উনি আরো জানান আমরা সাধারন মানুষ এই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম সানা মিয়ার কাছে সবাই জিম্মি হয়ে রয়েছে একমাত্র বর্তমান সরকারি পারে আমাদেরকে এদের থেকে বাঁচাতে এরা শুধু রুটি করে নাই অনেক মানুষকে এরা পিটিয়ে মেরে জমি দখল করে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে কোন লোকই এই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেতে চায় না। বিগত দিনে ক্ষমতার দাপট দেখানো এই খাইরুল আলম সানা মিয়া এখনো পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এত ক্ষমতার উৎস কোথা থেকে আসে তা অনেক কেরে জানা নেই তবে এলাকার লোকজন বলে থাকে যার কাছে টাকা থাকে তার কাছে নাকি সব ধরনের লোক ধরা থাকে আসলে কি সেটা নাকি তিন মেয়ে কে বিয়ে দিয়ে তিনজন এসপি পেয়েছেন সে ক্ষমতা জোরে সানা মিয়া এখনো পর্যন্ত টিকে আছেন।