1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
কুষ্টিয়ায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি তোলায় ১৫ নেতাকে শোকজ - দৈনিক দিনের সমাচার
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাল সনদে চাকরি নেওয়া কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী চাকরিচ্যুত কুষ্টিয়া চেম্বারের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শুভেচ্ছা বিনিময় তারুণ্যের শক্তিতেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব — জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে চিকিৎসার টাকা লুট কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় নেতাকর্মীদের বই উপহার দিয়ে প্রশংসিত জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা পলাশ কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হলেন পলাশ

কুষ্টিয়ায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি তোলায় ১৫ নেতাকে শোকজ





নিজস্ব প্রতিবেদক :





নব গঠিত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় দলটির ১৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে তাদের এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজের জবাব না দিলে একতরফাভাবে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির সাবেক ও আহবায়ক কমিটিতে থাকা এরকম ১৫ নেতাকে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নোটিশ পাওয়া বিএনপি নেতারা বলছেন, এটা দুই নেতার স্বেচ্ছাচারিতা। তারা সংগঠনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন। যার কোনো ভিত্তি নেই। এতে প্রতিবাদ থামবে না। শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটির অনুমোদন ও ঘোষণা দিয়েছেন। অনুমোদিত কমিটি এবং নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আপনি অগঠনতান্ত্রিক, বে-আইনি, উচ্ছৃঙ্খল ও হঠকারিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে “দায়িত্বজ্ঞানহীন তথাকথিত কর্মসূচীতে” বারবার অংশ নিয়ে অসত্য, বিদ্বেষপূর্ণ, অশালিন ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা দলের গঠনতন্ত্রের ৭ এর ‘খ’ ধারা মতে দলের চেয়ারম্যানের কর্তব্য, ক্ষমতা ও দায়িত্বকে অস্বীকৃতি জানানো এবং ৫ এর ‘গ’ ধারামতে দলবিরোধী শাস্তিযোগ্য কর্মকান্ড হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগের লিখিত জবাব দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের অনেকেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন অত্যাচারের সময় মাঠে ছিলেন না। এরপর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিতে কয়েক দফায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে আহবায়ক কমিটিতে থাকা কয়েকজন ত্যাগী নেতারাও অংশ নেন।  গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কমিটি ভেঙে দিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন তারা। সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিতে আবারও মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পদবঞ্চিতরা। আন্দোলন থেমে থাকবে না জানিয়ে শোকজ নোটিশ পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন বলেন, কমিটিতে দুর্দিনে দলের হাল ধরা অনেক নেতাকর্মীদের জায়গা হয়নি। অযোগ্যদের বাদ দিয়ে দলের পাশে থেকে দলের জন্য যারা ত্যাগ শিকার করেছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে আন্দোলন করেছি। ওই শোকজ চিঠির কোনো প্রশাসনিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। শোকজ চিঠির ধরণ দেখে মনে হচ্ছে সদস্য সচিব ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে যে ধারা উল্লেখ করা হয়েছে সেই ধারা মোতাবেক সদস্য সচিব শোকজ চিঠি পাঠাতে পারেন না। কেউ অনিয়ম বা সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড করলে সদস্য সচিব কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারেন। তারপর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। শোকজ নোটিশ পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, আমরা কোনো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। কুতুব উদ্দিন-জাকির হোসেন সরকারের পকেট কমিটির বিরুদ্ধে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। দলের গঠনতন্ত্র মেনেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ আহ্বায়ক কমিটির এখতিয়ার ভুক্ত। যারা দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে এবং জবাব দিতে বলা হয়েছে। এমন সম্ভাব্য ১৫ জন হতে পারে। এটা কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা না। তবে যারা নোটিশের জবাব দিবেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে বিএনপির তৃণমূলে বিভেদ বাড়তে পারে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন সরকার বলেন, তারা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। তাই আমি মনে করি না এতে দলীয় বিভেদ তৈরি হবে।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!