সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ‘‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’’ কার্যক্রমের আওতায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখায় সদর উপজেলার ৫জন ও জেলার শ্রেষ্ঠ কীর্তিমান জয়িতা ৫ নারীকে সংবর্ধনা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের যারা সফল জয়িতা নারী তাদের এই সফলতা একদিনে আসেনি। কাংখিত লক্ষে পৌঁছাতে পারিবারিক অনুশাসনের মধ্যে থেকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বেরিয়ে এসেছে সফল জয়িতা জননীরা। শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। শিক্ষার আলো না থাকলে তারা এপর্যন্ত আসতে পারতো না।
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের অবহেলিত রেখে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের জাগরণে বেগম রোকেয়ার যে অবদান তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি বেগম রোকেয়ার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারীদের আরও বেশি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরে সফুরা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার. সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল প্রমুখ।
এসময় জেলার সকল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে জেলা প্রশাসক সফল জননী হিসেবে মোছা: ছবেদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা অর্চনা সরকার , অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী হোসনেআরা জামান, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনকারী উম্মে সুমাইয়া শাম্মী খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মমতাজ বেগম আরাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা দেয়া হয়।
এর আগে ‘নারী-কন্যার সুরক্ষা করি সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’ এই প্রদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।