নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৫-২০২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগের অ্যাড. মুহাঃ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাড. এস, এম, শাতিল মাহমুদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে এ নির্বাচনে কুষ্টিয়া বিএনপির মনোনীত সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. গোলাম মোহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মজিদের ভরাডুবি হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবি ভবনে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে প্রত্যক্ষভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৪৬০ টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৩০ টি। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেসরকারি ভাবে পাঁচটি পদের ফলাফল ঘোষণা করেন, জেলা আইনজীবীর নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান অ্যাড. কে এম আব্দুর রউফ, নির্বাচন কমিশনের সদস্য অ্যাড. মোস্তফা সামসুজ্জামান ও অ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এতে সভাপতি প্রার্থী হারুনুর রশিদ ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল খালিদ মোহাম্মদ সাঈদ ১০৮ ভোট, মাহাতাব উদ্দিন ৭৭ ভোট, শেখ আজিজুর রহমান ৩৯ ভোট, গোলাম মোহাম্মদ ৩৬ ভোট ও তানজিলুর রহমান এনাম ১৬ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাক পদে এসএম শাতিল মাহমুদ ১৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খ,ম,আরিফুল ইসলাম রিপন ১৬৭ ভোট, আব্দুল মজিদ ২৯ ভোট, এসএম মনোয়ার হোসেন মুকুল ২৮ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ফারুক আজম মৃধা ১৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আব্দুর রহমান ১২৮ ভোট ও নাসির উদ্দিন ১০৯ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি পদে মাহমুদুল হক চঞ্চল ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজাম উদ্দিন ১১৪ ভোট, সামসুজ্জামান মনি ৮৩ ভোট ও ইসরাইল হোসেন ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাক পদে নাজমুন নাহার ১৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সাত্তার শাহেদ ৯৯ ভোট,মনোয়ারুল ইসলাম মনিরুল ৮৪ ভোট ও হাসান রাজ্জাক রাজু ৬৯ ভোট পেয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যান্য বাকি পদগুলোর ভোট গণনা সম্পন্ন হয়নি বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়।
এদিকে বিএনপি’র মনোনীত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভরাডুবি নিয়ে উকিলবারে চলছে নানা গুঞ্জন। বিএনপি’র ভড়াডুবিতে প্রার্থী বাঁচাই কে দুষছেন আইনজীবীরা।
এবারের নির্বাচনকে ঘিরে কুষ্টিয়া আদালত চত্ত্বরে গত কয়েকদিন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। প্রার্থীদের ভোটের ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্ত্বরে একদল বহিরাগতরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে করে আদালত চত্ত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট চলাকালে প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা ছিলেন আতঙ্কের মধ্যে। তবে ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত সকলেই ছিলেন আতঙ্কের মধ্যে। দিনটিতে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ভাবে ভোট গ্রহণ ও গননা সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা গিয়েছে, নবাগত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাতিল মাহমুদ, নবাগত সহ-সভাপতি মাহমুদুল হক চঞ্চল ও নবাগত যুগ্ম সাধারণ সম্পাক নাজমুন নাহার বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, বিএনপি নেতা জাহিদ সহ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।