নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়ায় এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে।

মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বড়গাংদিয়া বাজারে বিএনপি নেতা হাবলু মোল্লার উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল। প্রধান বক্তা ছিলেন দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল।
বিশেষ বক্তা ছিলেন দৌলতপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা। এতে সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন এবং সার্বিক পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী আবিদ হাসান মন্টী সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা সিটি ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তারিক আল মামুন জাপান, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. রমজান আলী, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাজান আলী, কেন্দ্রীয় সংসদ বাংলাদেশ কৃষকদলের সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সজল, কেন্দ্রীয় সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান পলাশ, কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সাবেক সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মাজেদ, কুষ্টিয়া শহর যুবদলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি ও সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাত সহ দলীয় অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

এসময় প্রধান অতিথি শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, বাংলাদেশে বিগত স্বৈরাচার সরকার ১৭ বছর ধরে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে দুর্নীতির মহারাজত্ব কায়েম করেছিলো। দেশকে ভিতর থেকে একেবারে নাজুক করে দিয়ে গেছে। আমাদেরকে নিজেদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি সফল রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এক সময় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নির্বাচনের কথা বলে দিন পিছিয়ে নিতো। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের মনগড়া নির্বাচন দিয়ে দিনের ভোট রাতে কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিতো আওয়ামী লীগের দোসররা। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিলো জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। গত বছরের ৫আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। কোথায় গেলো আওয়ামী লীগের সেই ক্ষমতা? জনগনকে জিম্মি করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল আরো বলেন, এ দেশ থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও তাদের নিয়মেই চলছে সকল দপ্তর তথা প্রতিষ্ঠান। আ’লীগের দোসরারা প্রতিটি স্থানে ঘাপটি মেরে আছে। এভাবে দেশ পরিচালিত হলে জনগন আবারো রাজপথে নেমে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জুলাই গনঅভ্যুত্থানে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলেও জনগন তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
যুবদলের এই নেতা শরীফ উদ্দিন জুয়েল উল্লেখ্য করে বলেন, জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পর সাতটি মাস অতিবাহিত হলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস নির্বাচন দেওয়ার কথা ভাবছে না। তিনি নির্বাচনের কথা না ভেবে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের মতো চলছে। তিনি বলেন, আগামীতে একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত সময়ে নির্বাচন হলে জনগন ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করবে এবং তার দৃড় বিশ্বাস জনগনের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।