গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হওয়া সর্বশেষ আসামি আরমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় শুক্রবার নিহতের বড় ভাই সেলিম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার মোট আটজন আসামিকে এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে।
উপ-কমিশনার (ক্রাইম, উত্তর) রবিউল হাসান জানান সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম আরমান। তিনি মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। রাজধানীর একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে সুনির্দিষ্ট ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব নয়। শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে জানিয়েছেন পুলিশ।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক জানান মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নিহত সাংবাদিক তুহিনের পরিবার প্রথমে গাজীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।ওই সময় সাংবাদিক ভাই বোনদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরে বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিমের সঙ্গে দেখা করবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। নিহত তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন এবং গাজীপুর মহানগরীর পালের মাঠ এলাকায় স্ত্রী ও দুই ছেলে—তৌকির হোসেন তৈকি (৫) ও আবদুল্লাহ আল ফাহিম (৩)—কে নিয়ে বসবাস করতেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একটি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির গাজীপুরের ডিলার হিসেবেও কাজ করতেন।
অন্যদিকে গাজীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ উপলক্ষে সাংবাদিক ভাই-বোনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।